গাজার রাজপথে হামাস বিরোধী স্লোগান, বিক্ষোভ প্যালেস্তিনীয়দের
নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজা - সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজার বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ। রক্ত গঙ্গায় ভাসছে গাজা। এবার গাজার রাজপথে উঠল হামাস বিরোধী স্লোগান। প্রতিবাদী বিক্ষোভ প্যালেস্তিনীয়দের। তাঁদের আবেদন, ”আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্যালেস্তিনীয়দের কণ্ঠে শোনা গেল ”আউট, আউট, আউট, হামাস আউট”, ”হামাস সন্ত্রাসবাদী” কিংবা ”যুদ্ধ নয় শান্তি চাই” স্লোগান। দীর্ঘ সময় ধরে হামাসের উপরে বদলা নিতে গাজায় হামলা চালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। প্রায় ৯০০টি সদ্যোজাত।
উল্লেখ্য, গাজার খান ইউনুস শহরের নাসির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল বারহুম। সেখানে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই হামলার তথ্য প্রকাশ করে ইজরায়েল সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে হাসপাতালকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী নিখুঁত হামলা চালিয়ে ওই জঙ্গিকে খতম করেছে।“
দিন কয়েক আগে মধ্য এবং দক্ষিণ গাজার একাধিক এলাকায় অভিযান চালায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরের মাধ্যমে উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে। তা এখন অর্ধেকের বেশি ইজরায়েলি সেনার কবজায়। এই করিডর ইজরায়েলের হাতে চলে যাওয়ায় গাজার দুই প্রান্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে খতম হয়েছে হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রাশিদ জাহজু, আয়মান আতসিলা ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ওসামা তাবাশ। আইডিএফের অভিযোগ, গাজা জুড়ে হামাসের মতাদর্শ প্রচার করত এই জেহাদিরা। আইডিএফের অন্য এক অভিযানে খতম হয়েছে ইসমাইল আবাদ আল-আল।