গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তৃণমূলে, কুলপিতে খুন পঞ্চায়েত সদস্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা - তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ কুলপিতে। নিহত পঞ্চায়েত নেতার নাম নুর উদ্দিন হালদার। রবিবার রাতে পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের পর দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতাবাদের বাসিন্দা পঞ্চায়েত সদস্য নুর উদ্দিন হালদার। রবিবার রাত আটটা নাগাদ নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর ওপর চড়াও হন দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ বসানো হয় নুর উদ্দিনের ওপর। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপরেই পড়ে যান তিনি৷ পরে এলাকায় বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাঁকে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বেই এই খুন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে। কুলপিতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকে। খুনের প্রতিবাদে কুলপি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা।
এ বিষয়ে ছামনা মুনি অঞ্চলের বুথ সভাপতি কুতুবউদ্দিন পাইক বলেন, "সম্প্রতি নুরউদ্দিন বিধায়কের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলছিলেন। বিধায়কের কথা না শোনায় বিধায়কের অনুগামীরা নুর উদ্দিনকে নৃশংসভাবে খুন করে। আমার চাই পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে এই খুনের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।"