গুজব ছড়ানোর অভিযোগ, পুলিশের জালে নাগপুর হিংসার মূল অভিযুক্ত সহ ৫১
নিজস্ব প্রতিনিধি, নাগপুর - দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় মহারাষ্ট্রের নাগপুর। সংঘর্ষে আহত হন ১৫ জন পুলিশ ও ৫ জন সাধারণ মানুষ। এবার গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এই হিংসার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের জালে আরও ৫০ জন।
সূত্রের খবর, বুধবার ফাহিম খান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় মাইনরিটিস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গুজব ও উসকানি ছড়ানোয় গত ১৭ মার্চ গোষ্ঠী হিংসা ছড়িয়েছিল নাগপুরে। গণেশপেট থানার এফআইআর করা হয়েছিল তাঁর নামে। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি।
পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র কুমার সিঙ্গাল জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত ৫০-র বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। প্রায় ১১ টি থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য মহারাষ্ট্র ও গোয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ইনচার্জ সেক্রেটারি গোবিন্দ শেন্ডে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে গণেশপেঠ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ওই বিক্ষোভে পবিত্র ধর্মীয় মন্ত্র লেখা একটি কাপড় জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দু’টি জেসিবি সহ একের পর এক গাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ইট-পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন ১৫ জন পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। চলছে টহলদারি ও ধরপাকড়। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানান, “পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।“ নাগপুর পুলিশের তরফ থেকে অশান্তির কারণ হিসেবে গুজবকে দায়ি করা হয়েছে।