নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় কেন্দ্রকে নিশানা বিরোধীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি - শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল ১৮ জন কুম্ভগামী পুণ্যার্থীর। এত জনের মৃত্যুর দায় কার? কোথায় গাফিলতি? সচেতনতামূলক পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? কেন্দ্রকে একযোগে নিশানা বিরোধীদের।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লিখেছেন, "এই ঘটনা আরও একবার রেলের ব্যর্থতা এবং অসংবেদনশীলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। প্রয়াগরাজগামী পুণ্যার্থীরা যে ভিড় জমাবেন সেটা তো প্রত্যশিতই ছিল। তাহলে রেলের তরফে আগে থেকে ব্যবস্থা করা হল না কেন? সরকার এবং প্রশাসনের এটা সুনিশ্চিত করা উচিত ছিল যে গাফিলতি আর অব্যবস্থায় যেন কারও প্রাণ না যায়।"
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “মোদি সরকার তথ্য চাপার চেষ্টা করছে। দিল্লির ঘটনায় সব মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনা হোক।” কেন্দ্রকে তোপ দেগে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী বলেন, "কুম্ভ যাত্রীদের নিয়ে ছেলেখেলা করছে সরকার। না প্রয়াগরাজে কোনওরকম বিলি ব্যবস্থা রয়েছে, না বিভিন্ন রাজ্য থেকে যাত্রীদের যাওয়ার কোনও সুব্যবস্থা।” রেল ও কেন্দ্রকে তুলোধনা করেছে বহুজন সমাজ পার্টিও।
উল্লেখ্য, এদিন রাতে মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেন ধরতে ভিড় জমিয়েছিলেন শতাধিক যাত্রী। তখন আচমকা গুজব ছড়ায় বাতিল করা হয়েছে ২ টি ট্রেন। তবে এই বিষয়ে রেলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যার্টফর্মে ভিড়ের চাপ অত্যাধিক বেড়ে যায়। হুড়োহুড়ি পরে যায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১৮ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ১১ জন মহিলা এবং ৪ শিশু। আহত বহু। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের দল। যদিও তৎক্ষণে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল।