প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য স্যালাইন কাণ্ডের, 'সেপটিক শকে' মৃত্যু প্রসূতির

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর - মেদিনীপুর স্যালাইন কান্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে প্রসূতির ময়নাতদন্ত। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রিপোর্টে সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট হলেও তবে তা কিসের জন্য সে বিষয়ে স্পষ্ট নয়। 

   সূত্রের খবর, বুধবার প্রকাশ পেয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিষিদ্ধ স্যালাইন কাণ্ডে মৃত মামনি রুইদাসের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে মৃতার বুকে ও পেটে ২.২ লিটারের মতো রক্ত মিশ্রিত তরল জমেছিল। সংক্রমণ হলে কিডনির মেডালা ও কর্টেক্স এলাকা আলাদা করে বোঝা যায় না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। লিভারের আকারও স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বড় ছিল। ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কেজি ৭১৭ গ্রাম। তাছাড়া সংক্রমণের জেরেই মাথায়, ফুসফুসে ‘ইডিমা’ হয়েছিল। বিকল হয়ে গিয়েছিল একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। পরিণতি ‘সেপটিক শক’। মামনি রুইদাসের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মৃত্যুর কারণ এটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

   ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্নগুলি হল প্রসূতির শরীরে সংক্রমণের প্রবেশ কীভাবে? স‌্যালাইনের বিষক্রিয়ায়, নাকি অন্য কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়? নাকি অস্ত্রোপচার ও অস্ত্রোপচারে ব্যবহার করা যন্ত্রপাতি নিয়ে সমস্যা?