৭৫ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার পুনে ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুনে - পুলিশ স্টেশন থেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা এক বাসের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। অভিযুক্তের খোঁজে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুনে পুলিশের অপরাধদমন শাখা। ৭৫ ঘন্টা পর অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তের খোঁজে মহারাষ্ট্র জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ড্রোন, পুলিশ কুকুর দিয়েও। যে গ্রামে অভিযুক্তের বাড়ি, সেখানেও হানা দেয় বিশেষ বাহিনী। ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ চালানো হয় আখের খেতে। অবশেষে শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গাড়ে (৩৬)। পুনে শহর এবং পার্শ্ববর্তী অহল্যানগরে ৬ টি চুরি ঘটনা, ডাকাতি এবং গলার হার ছিনতাইয়েও অভিযুক্ত সে। একাধিক অপরাধের ঘটনায় জেল খেটেছে। ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত রয়েছে অভিযুক্ত। সে নির্যাতিতার কাছে বাস কন্ডাক্টর হওয়ার দাবি করেছিল।
নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্টে এসেছে, তরুণীকে দু'বার ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ৪৫ থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে। নির্যাতিতা জানান, নিজের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেছিলেন তিনি। তাঁর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কোন বাস যাবে? তিনি প্রশ্ন করলে, দাঁড়িয়ে থাকা বাসের বিষয়ে একজন জানান। বাসে উঠতেই বাসের দরজা বন্ধ করে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্তরা। ধর্ষণ করে তরুণীকে।
থানায় অভিযোগ জানাতেই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। পুনের স্বরগেট রাজ্য পরিবহণ স্ট্যান্ডের পরিত্যক্ত বাসে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে ব্যবহৃত কন্ডোম, শাড়ি, অন্তর্বাস, মদের বোতল। ইতিমধ্যেই পরিবহণমন্ত্রী প্রতাপ সারনায়েক বাস টার্মিনাসের ২৩ জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।