ইউক্রেনীয় সেনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পুতিনের
নিজস্ব প্রতিনিধি, মস্কো - দীর্ঘ তিন বছর ধরে অব্যাহত ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। অবশেষে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শর্তসাপেক্ষে চুক্তি করতে সম্মত হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।এই আবহে ইউক্রেনীয় সেনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন পুতিন।
পুতিন বলেন, “কার্স্কে ইউক্রেনের সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাহলে আমরা কথা দিচ্ছি, তাঁদের প্রাণরক্ষা করব।” মস্কোয় তড়িঘড়ি পাড়ি দিচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। এই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, বুধবার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি জানান, “আমাদের প্রতিনিধিরা এখনই রাশিয়া যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলার জন্য। আমরা আশা করছি, মস্কো এই প্রস্তাবে রাজি হবে। আমরা যদি রাশিয়াকে শান্তির পথে ফেরাতে পারি তাহলে এই ভয়াবহ রক্তপাত ৮০ শতাংশ বন্ধ করতে পারব।”
পুতিনকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, "এখন সব কিছুই রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে। ওরা যদি যুদ্ধবিরতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ইউক্রেনে সেনা অভিযান জারি রাখে তাহলে এর ফল ভুগতে হবে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটা ওদের জন্য ভালো হবে না। রাশিয়ার উপর বিপর্যয় নেমে। তবে আমি সেটা চাই না। কারণ শান্তির পক্ষে। আমার লক্ষ্য সমাধান সূত্র বের করা।”
এর আগে ইউক্রেনের প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, "সম্প্রতি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এবার আমরা রাশিয়াতে যাব এবং আশা করব প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হবেন। একের পর এক শহরে বিস্ফোরণের জেরে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমরা চাই এবার এই যুদ্ধের অবসান হোক।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমরা চাই পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হোক। ইউক্রেন এই প্রস্তাবে রাজি আশা করি রাশিয়াও রাজি হবে। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি রাশিয়াকে রাজি করিয়ে এটা করতে পারি তাহলে তা দুর্দান্ত বিষয় হবে। যদি না পারি সেক্ষেত্রে আরও অসংখ্য মানুষ মারা পড়বেন।”