চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে তুলোধনা রবি শংকরের
নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি - ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে তুলোধনা করলেন ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু রবি শংকর।বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও কট্টরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিলেন তিনি।
রবি শংকর জানান, "বন্দুক হাতে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নামেননি চিন্ময় দাস। শুধুমাত্র তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়ার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিজের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার। কট্টরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা হোক যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ছবি নষ্ট করছে।"
উল্লেখ্য, সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জেলা আদলাতে তাঁর জামিনের জন্য সওয়াল করেন ৫১ জন আইনজীবী। কিন্তু জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এই ঘটনায় কড়া বার্তা দেয় ভারত সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসকনও।
অবিলম্বে ইসকনের সন্ন্যাসীকে মুক্তির দাবি জানায় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইউনুস সরকারের আমলে বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালুঘদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয় মোদি সরকার। এক বার্তা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানায়, ক্রমাগত মৌলবাদীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমশ বাড়ছে অত্যাচার। সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করতে ব্যর্থ ইসনুস সরকার।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে একজোট হয়েছে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্য়ালঘু। এই জোটের মুখপাত্র ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁর বিরুদ্ধে সেই সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সর্বত্র সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে ঢাকা পুলিশ।