রাজ্যসভার সদস্য পদে মনোনীত হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত হলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত জহর সরকারের ছেড়ে দেওয়া পদে আসীন হলেন তিনি। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানো হয় এই খবর। এই ঘটনার পর ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতারা।
৭ ডিসেম্বর জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে বাংলার শাসকদল। এই আসনে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই ১৩ ডিসেম্বর, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে জানানো হয় জনতার কাজে যেভাবে ঋতব্রত নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, তার সুফল পেলেন এবং তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও মজবুত করবে।
এই জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আর তারপরেই তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, "আমি প্রথমেই এই বিষয়ে ধন্যবাদ জানাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।তিনি যখন আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন, তখন আমি রবীন্দ্রনাথের ভাষা ধার করেই বলেছিলাম,'তব চরণে নত মাথা' ৷ তিনি যে ভরসা দেখিয়েছেন, সেই ভরসার দাম রাখবার চেষ্টা করব ৷ যে দায়িত্ব তিনি দেবেন, তা পালনে সচেষ্ট থাকব ৷"
এরপর এক দেশ এক ভোট নিয়ে তিনি বলেন, "এই এক দেশ, এক ভোট আসলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আক্রমণ। যা বিজেপি করে চলেছে। এটা কিছুতেই চলতে পারে না। আর দেশের বিশিষ্ট নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বে চাইছেন। কারণ বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে একমাত্র প্রমাণিত তৃণমূল কংগ্রেস।"
উল্লেখ্য এর আগে সিপিআইএমে থাকাকালীন রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে ঋতব্রতকে বহিষ্কার করে সিপিআইএম ৷ এরপর নির্দল হিসেবে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন তিনি ৷ এবার সরাসরি তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় যোগ দিলেন তিনি ৷