ফের ওয়াকফ ইস্যুতে উত্তপ্ত রাজ্য, অবরুদ্ধ ভাঙড়ের বাসন্তী হাইওয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - সোমবারেও ওয়াকফ
ইস্যুতে চড়ল বাংলার পারদ। মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার ভাঙড়। এদিন বিক্ষোভের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে। জানা গিয়েছে, এদিন রামলীলা ময়দান অভিযান নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদেই সেখানে ছিল কর্মসূচি। কিন্তু তার আগেই বিক্ষোভকারীদের রুখে দেয় পুলিশ। আর তাতেই চড়ে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চালান বিক্ষোভকারীরা।
সূত্রের খবর, মালদহ মুর্শিদাবাদের পর ভাঙড়ে ওয়াকফ ইস্যুতে বিক্ষোভ কর্মসূচি। সোমবার মিছিল করে রামলীলা ময়দান অভিযান নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এদিন প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেন। তখনই তাদের বাসন্তী হাইওয়েতে রুখে দেয় পুলিশ। রীতিমতো ব্যারিকেড বেঁধে দেওয়া হয় রাস্তায়। কিন্তু ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চালান বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে চরমে ওঠে পরিস্থিতি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, "পুলিশ আমাদের হঠাৎ এখানে আটকে দিল। বলছে, আমাদের নাকি কোনও বৈধ অনুমতি নেই। তাই অন্য জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে। কিন্তু আমরা অন্য জায়গায় কেন যাব? আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।"
এই প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী পুলিশের দিকে তোপ দেগে বলেন, "উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তো পুলিশ। রাজ্য যে ২৬ হাজার চাকরি গিয়েছে, সেই দিক থেকে তো মানুষের মন ঘোরাতে হবে। তাই জন্য আমরা যখন কেন্দ্রের একটা আইনের বিরোধিতা করে ও বাবা অম্বেদকর সাহেবের জন্মজয়ন্তি পালনের জন্য রামলীলা ময়দানের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রুখে গোলযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আমাদের কাছে সব ভিডিয়ো রয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা আইনের পথে যাব।"
পাল্টা তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, "তৃণমূলের এখনও সেই দুরাবস্থা হয়নি যে আইএসএফের মতো চার পয়সার দলকে বাধা দিতে হবে। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই ওরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে এসব কথা বলছে।"