"ভন্ডামির মুখোশ পরে আছেন মুখ্যমন্ত্রী" দিঘা সফর ঘিরে কটাক্ষ শুভেন্দুর
নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর - দিঘা সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।সেখান থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যের অপলাপ, মিথ্যাচার, ভণ্ডামি, হিন্দুদের অপমান, সনাতন সংস্কৃতি ভোলানোর চেষ্টা করছেন। চৈতন্যদেব ও পুরী ধামের অপমান করছেন। ছাব্বিশে হিন্দুরা আপনাকে ভোট দেবেন না। আপনি ভেজাল হিন্দু। হিন্দুবিরোধী। হিন্দুদের ঐক্য দেখে আতঙ্কে এ সব করে বেড়াচ্ছেন ভণ্ডামির মুখোশ পরে।"
বুধবার শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য ৩২৮০ জন পুলিশকর্মী নিয়োজিত, আইপিএস থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে। এভাবেই তানাশাহী, একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুদের ঐক্য দেখে তিনি আতঙ্কিত। অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি দেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি টাকায় ভাস্কর্য তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার বলতে উনি একজনই। হিডকো কাজের জন্য যে বরাত দিয়েছে সেই ওয়ার্ক অর্ডারেই লেখা আছে, দিঘায় জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র হচ্ছে। কোনও সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী ভণ্ডামি, মিথ্যাচার করছেন।"
এরপরই শুভেন্দু বলেন, "চার ধামের এক ধাম পুরী ধাম। নকল করবেন না। হিন্দুরা আপনাকে এই অধিকার দেয়নি আপনাকে। কেদার, বদ্রীর নকল হয় না। শঙ্করাচার্যের বিকল্প হয় না, গীতাকে পাল্টানো যায় না। অভিনন্দনকে শুভনন্দন করা গেলেও পুরী ধামের বদল করা যায় না। কোত্থেকে এ সব করার সাহস পান!সরকার টাকা, ক্ষমতা, পুলিশ নিয়ে কী করতে পারে তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে। আমরাও বলছি, আপনি যা বলেছেন
তা করে দেখুন। ওডিশা নয়, বাংলা থেকে আওয়াজ উঠবে । পুরী ধামের নকল মানব না। সরকারি টাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় না। আপনি মন্দির বানালে টাকা হিন্দুরাই দিত।"
কলকাতায় ইসকনের কার্যকর্তা রাধারমন দাসেরও সমালোচনা করেন শুভেন্দু। বলেন, "ওঁর বাংলাদেশ নিয়ে বচন শোনা যায়। চৈতন্যদেব পুরী ধামে গিয়েছিলেন কয়েকবার। তাঁর বাণী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীল প্রভুপাদ। অথচ মুখ্যমন্ত্রী যখন পুরী ধামের অপমান করলেন তার সাক্ষী থাকলেন রাধারমন দাস। এই দুর্ভাগ্য রাখার জায়গা নেই।"