টলিউডের চরিত্র সাজান সুচিস্মিতা !! কিন্ত তাঁর লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - নিজের জায়গা দখল করার লড়াই সবাই লড়তে পারে না তবে লড়েছেন সুচিস্মিতা দাশগুপ্ত।নিজের শখের কাজকে বানিয়েছেন ক্যারিয়ার।টলিউডের চরিত্রগুলোকে নিজের দক্ষতায় নতুন রূপ দান করেন কস্টিউম ডিজাইনার সুচিস্মিতা।চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে নিজের জায়গা দখলের কাহিনী।

ছোট বেলায় পকেট মানির চাহিদায় জামা কাপড় ডিজাইন করা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই কাজকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন সুচিস্মিতা।তিনি চার বছর এক্সপোর্ট হাউসে চাকরি করার পর নিজের ব্র্যান্ড শুরু করেন।তার নাম দেন নেক্সট স্টাইল। পরিণীতা শুটিংয়ের সময় নিজের বন্ধুকে সাহায্য করার মধ্য দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন।বিজ্ঞাপনে আর্ট ডিরেক্টর বিভাগে থাকায় তাঁর এই কাজের প্রতি অন্যরকম আলাদাই শখ ছিল।

একের পর এক ছবির জন্য কস্টিউম ডিজাইন করতে করতে তিনি যে কিভাবে কস্টিউম ডিজাইনার হয়ে গেলেন তা তিনি নিজেও জানেন না।নিজের জায়গা করার জন্য তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে ও বর্তমানেও করে যেতে হচ্ছে।নিজের কাজটিকে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য তাকে তার কাজের গুরুত্ব সকলকে বোঝাতে হয়।তিনি কাজের মধ্যে থাকতে খুবই পছন্দ করেন।ইন্টারন্যশনাল ফ্লিম করার পর তিনি বুঝতে পারেন কস্টিউম ডিজাইনিং তার জীবনের এক অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই কাজের মধ্যে না থাকলে তিনি কাজকে খুবই মিস করেন।অপরাজিততে তিনি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রকে এত সুন্দর ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।তিনি তাঁর জন্য অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।সত্যজিৎ রায় সকল দর্শকদের খুবই কাছের মানুষ তাই সুচিস্মিতার কাছে কাজটি ছিল খুবই চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ।নিজের কাজের সন্তুষ্টির জন্যই তিনি বারবার ফ্লিম ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফিরে যেতে চান।

নারীরা পারে না এমন কিছু হয় না।উনবিংশ শতাব্দীর নারীরা সেলাইয়ের কাজ শিখত, কাপড়ে নানারকমের সূচিশিল্প করতো তবে সেটি ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যেত।বিংশ শতকের নারীরা এই শিল্পকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই যেন নারীদের কাজের অগ্রগতিকেও বোঝায়।নারীদের সফল হতে গেলে যে শুধুমাএ পুরুষদের মতোই কাজে সক্ষম হতে হবে তা কিন্ত একদমই নয়।নিজের পেশা ও ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়েও নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়।যেমনটা করেছেন সুচিস্মিতা। টিভি নাইনটিনের পক্ষ থেকে তার জন্য রইলো অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।