সুগন্ধার দোল উৎসব, প্রাচীন রীতি মেনে পালিত হচ্ছে উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি - সুগন্ধায় প্রায় ৪ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে পালিত হচ্ছে দোল উৎসব। কালাচাঁদ দেব জিউ ও রাধারাণীর দোলযাত্রাকে কেন্দ্র করে রঙের উৎসবে মেতে উঠেছে বহু ভক্তগণ। 

দোল উৎসব উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে সুগন্ধার দোলবাড়ি। সুগন্ধার এই দোল উৎসব প্রায় চারশো বছরেরও বেশি পুরোনো। কথিত আছে, চিন্তামণি বসুরায় এই দোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন। এই দিনে দোলবাড়ি মন্দিরের কালাচাঁদ দেব জিউ ও রাধারাণীর বিগ্রহকে সাক্ষী রেখে দোল উৎসব পালন করা হয়। ভোর থেকে এই দোল উৎসবে অংশগ্রহণ করতে ভক্তদের ঢল নেমেছে দোলবাড়িতে। দোলের আগের দিন চাঁচড় বা ন্যাড়াপোড়ার মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাশের রীতি পালিত হয়েছে। দোল উৎসব উপলক্ষ্যে এই দিন দোলবাড়ির মাঠ ও স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এক সপ্তাহ ব্যাপী চলবে এই মেলা। এখানে নানা ধরনের দোকান, নাগরদোলা ও অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে বসুরায় পরিবার মেলা পরিচালনা করলেও বর্তমানে এই মেলার দায়িত্ব পালন করে সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত। উৎসবের শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

দোলবাড়ির পুরোহিতদের দ্বাদশ বংশধর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দোলবাড়ির রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ বহু প্রাচীন। ভোর ৪টের সময় মঙ্গলারতির পর রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহকে মন্দির থেকে দোল মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। এরপর এখানে পুজো সম্পন্ন করে ভগবানের চরণে আবির দিয়ে সূচনা হয় দোল উৎসবের। রাতে যাত্রাপালা সম্পন্ন করে বিগ্রহকে আবার মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই রীতি মেনেই বহু প্রাচীনকাল ধরে পালিত হয়ে আসছে দোল উৎসব।