ফের বাংলাদেশ নিয়ে সরব শুভেন্দু, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা উত্তর
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - সোমবার ফের বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে নিশানা করেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। যাঁরা ভাবছেন এই সুযোগে রাজনৈতিক লাভ হবে, তাঁরা জানবেন এতে ক্ষতিই হবে আপনাদের।" তার পাল্টা বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কে অপ্রচার করছে? মন্দিরে হামলা হচ্ছে, এটা মিথ্যা?"
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ভারত সরকারকে চিঠি দিতে পারেন। বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিম বাংলায় ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। মুখরক্ষার জন্য এটা বলছেন উনি। আবার ওনার সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন করছেন। নরেন্দ্র মোদিজির নিন্দা করছেন। অতয়েব বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে, ফিরহাদ হাকিমকে, রাণী রাসমণি রোডকে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর হিন্দুরা জাতীয় পতাকা নিয়ে, কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে গেলে, হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়। অর্থাৎ একই অঙ্গে বহু রূপ। এই সব কথার কোনও মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না।"
এরপরেই বাংলাদেশের কলকাতা দখলের ডাকের হুমকি নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, "মৌলবাদীদের হাতে রাষ্ট্রযন্ত্র চলে গিয়েছে। লাদেন ও হামাস প্রধানের যে হাল হয়েছে, বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার কাছে খবর আছে, ঢাকা থেকে ৩ লক্ষ হাতে টানা রিকশা রওনা দিয়েছে কলকাতা দখল করার জন্য। আরে ওদের আছেটা কী ? র্যাফেল রাখা আছে হাসিমারায়। শুধু আওয়াজ দিলে না ওখান থেকে, প্যান্টে বাথরুম হবে।"
সেইসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শুভেন্দু বলেন, "যতদিন পারেন জেলে রাখুন, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু মাথা নীচু করার লোক নয়। চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে থাকলে বাইরে কোটি কোটি চিন্ময় প্রভু তৈরি হবে। এ দেশে কাসভের হয়েও আইনজীবীরা দাঁড়িয়েছিলেন। চিন্ময়প্রভুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলেও আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। আইনজীবী রমেন রায়কে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোনও গণতন্ত্র ও সংবিধান নেই।"