পরিবারের আপনলোক করেছে শ্লীলতাহানি ! তবে মা কেন দেয়নি সঙ্গ ?

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - যখন মানুষ ভয়, আনন্দ, বিস্ময় বা যন্ত্রণার মতো আবেগ প্রকাশ করতে চায় তখন তার মুখ থেকে অজান্তেই ''মা" শব্দটি বেরিয়ে আসে। তবে ভাবুন তো যদি জন্মদাত্রী মাই সন্তানের জন্য লড়তে না পারে ! তবে সন্তানের মানসিক অবস্থা কেমন হবে ? অনুষ্কা দাসের সঙ্গেই ঘটে গেছে এমন এক ঘটনা যা তার ছেলেবেলাকে আতঙ্কিত করে রেখে দিয়েছে। তার মাও সেই সময় তার পাশে দাঁড়ানোর সাহস রাখেনি।চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক অনুষ্কার দুঃখের কাহিনী।

ছেলেবেলায় সকলেই মামারবাড়ি যেতে খুবই পছন্দ করে। তেমনই অনুষ্কা ও তার মামার বাড়ি যেতে খুব পছন্দ করত। গরমের ছুটিতে বাবা সঙ্গে না যেতে পারলেও মায়ের সঙ্গে সে প্রত্যেক বছর মামার বাড়ি আসতো। তবে অনুষ্কা যখন কিশোরীতে রূপান্তরিত হলো সেই গরমের ছুটি তার জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকলো। মায়ের সঙ্গে তিন দিনের জন্য মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছিল সে। সকলে একদিন মার্কেটে যায় ১ লা বৈশাখের কেনাকাটা করতে সেইদিনই অনুষ্কার একা থাকার সুযোগ নেয় তার মাসতুতো দাদা। জোর করে তাকে চিলেকোঠার ছাদে নিয়ে যায় ও তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতে থাকে। দুধওয়ালা বাড়িতে চলে আসায় অনুষ্কাকে দাদার হাত থেকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে বাড়িতে জানাজানি হয় বিষয়টি। তবে মানুষ অনুষ্কাকেই শেষ পর্যন্ত দোষী বানায় তার মাসতুতো দাদা। তার মা পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে লড়েনি। এই ঘটনায় চুপ হয়ে যায় অনুষ্কা। পরবর্তীতে তার মা অনুষ্কার কাছে বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চায়। এক প্রকার নিজের মেয়ের মান সম্মানকে দুর্নাম হওয়ার থেকে বাঁচাতেই তার মা চুপ ছিল। সেই ঘটনার প্রভাব তার মধ্যে অনেকদিন পর্যন্ত বিরাজও থাকে।বর্তমানে সে নিজেকে একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সকলের মনের রোগের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনকেও সারিয়ে তুলতে পেরেছে। 

'নারী শক্তি' র জয় সমাজে তখনই হবে যখন তাদের পরিবার তাদের সঙ্গ দেবে। মান সম্মানের ভয়ে অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে নিজে তো পিছিয়ে আসেই সঙ্গে লড়াকুদেরও পিছিয়ে নিয়ে যায়। যেখানে অনুষ্কার মায়ের উচিত ছিল অনুষ্কার পাশে থাকা সেখানে তার মা চুপ থাকে শুধুমাএ লোক জানাজানি হওয়ার ভয়ে। যার কারণে অনুষ্কা তার মাকে খুবই অপছন্দ করতে থাকে। নারীদের শক্তি তারা নিজেই তবুও তাদের পাশে থাকলে সেই শক্তির জোর আরো বেড়ে যায়। তাই সমাজের উচিত নারীদের পাশে থাকা।