চেয়ারম্যান পরিবর্তনের পর পানিহাটির তিন কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি! তদন্তে খড়দহ থানার পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগণা - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পর পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মলয় রায়। এরপর কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে সর্বসম্মতি নিয়ে চেয়ারম্যান হন সোমনাথ দে। তারপরেই পুরসভার তিন কাউন্সিলরের কাছে ক্রমাগত খুনের হুমকির ফোন আসছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সদ্যই পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সোমনাথ দে দায়িত্ব নিয়েছেন। আর চেয়ারম্যান বদলের পরই একের পর এক কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গতকাল ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশের নম্বর থেকে ফোন করে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর সোমবার হুমকি ফোন পান পানিহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী। এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দে। তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কে বা কারা করছে এই থ্রেট কল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ এবং ঘোলা থানার পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তীর বলেন, "শনিবার সন্ধ্যার পর অচেনা একটি নম্বর থেকে পরপর দুবার ফোন আসে ৷ ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে ভারী গলায় একজন বলেন, সামনেই যেহেতু ভোট ৷ তাই, আমি যেন রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে থাকি৷ আমায় চুপচাপ থাকতে বলেন৷ কথা না-শুনলে খুন হতে হবে বলে৷ অচেনা ওই ব্যাক্তির কন্ঠস্বর আমি চিনতে পারিনি। যে ফোন কলটি এসেছিল সেটি বাইরের কোনও ফোন নম্বর।"
তবে থ্রেট কল নিয়ে বিচলিত নন বলে জানান তীর্থঙ্কর ঘোষ। সম্রাট চক্রবর্তীর ফোনে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, “আমরা এই নিয়ে বিচলিত নই। সিপিএমের রক্তচক্ষু দেখে রাজনীতি করেছি। আমি এতে বিচলিত নই। আমার কাছে কোনও ফোনও আসেনি।”
এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সোমনাথ দে বলেন, “এভাবে থ্রেট করবে, এটা কখনও আশা করিনি। অন্য কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলকে এরকম কথা বলিনি। বামেরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা এরকম কোনও থ্রেট পাইনি। পানিহাটিকে কেউ অশান্ত করতে চাইলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”