বাঘ আতঙ্ক ঝাড়গ্রামে, 'বাঘ ঘুরছে, জঙ্গলের রাস্তা এড়িয়ে চলুন' মাইকিং লোকালয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম - পুরোদমে চলছে পর্যটনের ভরা মরশুম। এরই মধ্যে ঝাড়গ্রামে ছড়িয়েছে বাঘের আতঙ্ক। কিছু মাস আগে মহারাষ্ট্র থেকে বেশ কয়েকটা বাঘ সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে যমুনা ও জিনাত নামে দুটি বাঘিনী পালিয়ে যায়। এর মধ্যে জিনাতের খোঁজ মেলে ঝাড়খণ্ডে। আর যমুনাকে দেখা যায় ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়ের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল এলাকা। যার জেরে 'বাঘ ঘুরছে, জঙ্গলের রাস্তা এড়িয়ে চলুন' বলে মাইকিং করা হচ্ছে লোকালয়ে।
সূত্রের খবর, জিনাত এবং যমুনা উভয়কেই আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের তাডোবা অন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে। আড়াই বছর বয়সী যমুনা সিমলিপাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কুলডিহা ওয়াইল্ড স্যাংচুয়ারি দিকে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ বেরিয়ে যায়। যমুনাকে আনা হয়েছিল ৯ নভেম্বর। ছাড়া হয় জনাবিলের কোর এরিয়ায়। শুক্রবার সেখান থেকে বেরিয়ে যমুনা বেলপাহাড়িতে কাটিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এলাকা ছাড়ে। এরপর শনিবার সকালে কাঁকড়াঝোরের ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে তার সন্ধান মেলে। জিপিএস কলার লাগানো রয়েছে বাঘিনীর শরীরে। আর তার মাধ্যমে বাঘিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে নজরবন্দি করে রাখতে ওড়িশা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট এবং ঝাড়গ্রাম বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
বেলপাহাড়ি থানার শিমুলপাল অঞ্চলের জোড়মা, বিরমাদল, শাখাভাঙা, জাম্বনী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বন দফতর এবং পুলিসের তরফ থেকে সতর্ক করে মাইকিংও করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের ঘাঘরা, পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় রাজ্যের সীমান্ত-লাগোয়া গ্রামবাসীদের জঙ্গলে কাঠপাতা কুড়োতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এলকায় খাঁচা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশার রিজার্ভ ফরেস্টের এসটিআর টিম ও পৌঁছেছে এলাকায়। যৌথ নজরদারি চলছে।
এদিকে শীতের সময় প্রচুর পর্যটক আসেন জঙ্গলমহলে। বাঘিনী বেরিয়েছে এই খবরে আতঙ্কিত তাঁদের অনেকেই। কার্যত হোটেল, লজবন্দি তাঁরা।পাশাপাশি জঙ্গল এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মনের সুখে বেড়ানোর সাধও পূরণ হচ্ছে না পর্যটকদের।