তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, ধুন্ধুমার বিডিও অফিস চত্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - তৃণমূল বনাম তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ফের আরাবুল-শওকতের অশান্তিতে মোতায়েন পুলিশ। মূলত ভাঙ্গড় এক নম্বর ব্লকের ভূমির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা আহসান মোল্লা ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসে আসা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। অশান্তি থামাতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিস চত্বর।

   সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ফের শুরু হয় আরাবুল - শওকত অনুগামীদের অশান্তি। এদিন ভাঙড়ের ২ নম্বর বিডিও অফিসে যখন আরাবুল ইসলাম পৌঁছন তখন শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ আহসান মোল্লার অনুগামীরা আরাবুল ইসলামকে ঘিড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বলে অভিযোগ৷ অপরদিকে শওকত অনুগামীদের অভিযোগ ভাঙ্গড় এক নম্বর ব্লকের ভূমির কর্মাধ্যক্ষ ও শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আহসান মোল্লা ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসে আসলে তাঁকে দেখে গালিগালাজ করে আরাবুল ইসলামের অনুগামীরা। এই নিয়ে আরাবুল ও শওকত মোল্লার অনুগামীরা একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়ায়৷ যা ধীরে ধীরে বড় ঝামেলার রূপ নেয়। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ ও পোলেরহাট থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পুরো এলাকায়।

     এবিষয়ে শওকত মোল্লার অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ আহসান মোল্লা বলেন, "আমি ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ এবং সরকারি দলিল লেখক। আজ দুনম্বর ব্লকে এসে আমার কাজ শেষ করি ৷ আগামী ১৯ জানুয়ারি ভগবানপুর অঞ্চলে কর্মী বৈঠক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। তা নিয়েই আলোচনা ছিল ৷ এদিন যখন বিডিও অফিসে আসি সেই সময় আরাবুল এবং আরাবুলের ছেলে আমাকে গালিগালাজ করে। আমাকে মারার জন্য উদ্যোগী হয় আরাবুলের অনুগামীরা। কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ, আমাকে উদ্ধার করেছে ওই পরিস্থিতি থেকে ৷ না-হলে আমাকে প্রাণে মেরে দিত ওরা। আমরা কোনও লোকজন নিয়ে আসেনি, বিডিও অফিস চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে তাতে সমস্তকিছু দেখা যাবে৷"

      শওকত অনুগামীর সমস্ত অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আরাবুল ইসলামের ছেলে তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম দাবি করেন, "সমস্তকিছুই ঠিকঠাক চলছিল৷ ভাঙড় ১ নম্বর ব্লক থেকে কিছু বহিরাগত এসে আমাদের গালিগালাজ করেছে। আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বহিরাগতরা এসে এখানে যত কুখ্যাত দুষ্কৃতী রয়েছে তাদের সঙ্গে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রশাসনকে সমস্ত জানিয়েছি এবং প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।"