প্রকাশ্য জনসভা থেকে তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতাকে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ - বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক আচরণ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে । মালদহ পোস্ট অফিস মোড়ের সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল নেতা আব্দুর রাহিম বক্সীর । সরব হয়েছেন সাবিত্রী মিত্র ও জয় প্রকাশ মজুমদারও ।
শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী কে 'পাগলা হাতি' বলে তীব্র কটাক্ষ করে, শিকলে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেন মালদহ তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ।সভা মঞ্চ থেকে জেলা সভাপতি আরও বলেন যে,আমরা বিধান সভাতে একজন পাগল কে দেখতে পাচ্ছি যে কখনো বিধান সভা তে ঢুকে গান গায় , কখনো হাহা করে হাসে আবার কখনো বিধান সভার বাইরে কাঁদে ,ওনার মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটেছে । তাই পাগলা হাতি কে যে ভাবে বেঁধে রাখা দরকার তেমনই ওনাকেও বেঁধে রাখা হোক।উনি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নষ্ট করছেন।
সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী আরো বলেন যে , তৃণমূল কর্মীরা প্রমান করে দিয়েছে আগামী দিনে মালদহ মমতা ব্যানার্জীর ,অভিষেক ব্যানার্জীর,মালদার মানুষেরা পায়ে পা মিলিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এই বিজেপি আর না । তৃণমূল সভাপতির আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ যায় নি সিপিএম , কংগ্রেস ও । তিনি বলেন যে ' কংগ্রেস এখন বি জে পি র দালাল । সিপিএম লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করছে ।'
অন্য দিকে মানিকচকের তৃণমূল বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র বলেন যে ' বিরোধী সভাপতি অনেকটা বৃহন্নলার মতো । বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার জন্য শাস্তি হওয়া উচিৎ ।'
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য,বাংলাকে বঞ্চনা করে গরিবের ভাত ,কাজ ,মাথার ছাদ কেড়ে নিয়ে বিজেপি যেন ভোট চাইতে না আসে । আগামী বিধান সভা ভোটে জেতা সিট গুলো আরো বেশি ভোটে জিতে আনতে হবে, না জেতা সিট গুলো তে আরো বেশি করে নজর দিতে হবে ।
উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, এক জন কর্মীর গায়ে হাত দিলে ব্যবস্থা নেবো ।তৃণমূলের কু -কীর্তি ফাঁস করেছে তাই তৃণমূল, বিরোধী দলনেতা কে এই ভাবে আক্রমণ করছে।