নারীরা অবলা নয়। বিয়ে থেকে একাই পালিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে প্রিয়াঙ্কা !!

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - ক্ষমতাহীন, নির্ভরশীল মহিলার জন্য 'অবলা নারী' কথাটি ব্যবহার হয়।সমাজ নারীদের অবলা বলে তবে তাদের অবলা কিন্ত এই সমাজই বানিয়েছে।যেমন পড়াশোনা করার কি দরকার? বিয়ে করে সংসার করুক।বিয়ের পর চাকরি কি করে করবে ? তবে বাচ্চা কে সামলাবে ? এত কিছুর সম্মুখীন পুরুষদের তুলনায় নারীদেরকেই বেশি হতে হয়।তবে এতে হার মানলে চলবে না।নারীরা যদি নিজের ভালো নিজে না বোঝে তবে অন্যরাও তাদের বুঝবে না।আর এটাই বাস্তব। তাই প্রিয়াঙ্কা মেনন বিয়ের পথ নয় নিজের অবলম্বন হওয়ার স্বপ্ন আগে পূরণ করেছেন।জেনে নিন তারই কাহিনী।

হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা ছোট থেকেই রক্ষনশীল পরিবারে বেড়ে ওঠায় তার মধ্যে পরিবারের বদ্ধ নিয়ম ভাঙার চেষ্টা প্রথম থেকেই ছিল। তার মা তাকে এইসকল কারণে শাসন করলেও সে নিজের মনের কথাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা ক্লাস ১২ এর ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে তার বাবা,মা এতে আপত্তি প্রকাশ করতে থাকে।তাই একপ্রকার নিজের জমানো টাকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে সেই কোর্সে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তার মা,বাবা তার ক্যারিয়ার মেনে নিলেও তার বিয়ের জন্য বয়সের সীমা বেঁধে দেয়।নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেও সুখী হতে পারে না সে কারণ তার পরিবার তার জন্য পাত্র দেখা শুরু করে। পরিবারের পছন্দ করা পাত্র তাকে দেখতে এলে প্রথমেই তাদের দাবি হয়ে দাঁড়ায় বিয়ের পর ঘরের বউয়ের চাকরি করা সম্ভব নয়।প্রিয়াঙ্কার বাবা,মায়ের পাত্র পছন্দ হলেও সে এই বিয়েতে নারাজ। কষ্ট করে ক্যারিয়ার তৈরি করে শুধুমাত্র বিয়ের কারণে সব জলাঞ্জলি দেবে এটা সে একদমই মেনে নিতে পারে না।তাই বিয়ে ঠিক হলে বিবাহের একসপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং মা বাবার জন্য একটি চিঠি লিখে রেখে যায়।সেখানে প্রিয়াঙ্কা লিখেছে তারা শুধু তাদের মেয়েকে সবসময় মেয়েই ভেবেছে তাই সকলে মিলে এত গন্ডি ও বাঁধা তৈরি করে রেখেছে।মেয়ে হিসাবে জন্ম নেওয়া তার জন্য দোষের নয় তবে সে মেয়ে হয়েছে বলে তাকে এত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এটারও তো কোনও যুক্তি নেই ! তাই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সে ঘর ছেড়েছে।

বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা সফল বিবাহিত জীবন উপভোগ করেছে।তার মা,বাবাও তাকে বুঝতে পেরে নিজেদের ভুল উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।নারীশক্তির জয় এখানেই হয়েছে।নারীরা অবশ্যই পারে তবে নিজের ভালো নারীদের নিজেদেরকেই বুঝতে হবে। নিজেরা যদি নিজের কথা না ভাবে তবে অন্যরাও তাদের গুরুত্ব দেবে না।প্রিয়াঙ্কাও তাই সব বাধা অতিক্রম করে নিজেকে গুরুত্ব দিয়েছে। এরকম নারীদের পাশে সমাজ ও পরিবারের উচিত সমর্থন করা।কারণ তারাই সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।