'ইয়ার নেহি লুট লিয়া', শুল্ক বৃদ্ধির পর মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্বকে নিশানা রাঘবের
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউদিল্লি - সম্প্রতি ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন বন্ধু ট্রাম্প। এই নিয়ে বারবার কটাক্ষ হানছে বিরোধী দল। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক এবং স্টারলিঙ্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা। শুক্রবার রাজ্য সভায় রাঘব বলেন, 'ইয়ার নেহি লুট লিয়া!'
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ‘ছাড় যুক্ত পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি মেনে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি দেশের বাজারে পা রাখছে ট্রাম্পের ‘কিচেন ক্যাবিনেট’-এর সদস্য ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক। এই আবহে দুটি বিষয় নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছেন রাঘব চাড্ডা। তিনি বলেন, "আমার ভালবাসার জন্য তুমি আমাকে ভাল প্রতিদান দিয়েছো। এক বন্ধু আরেক বন্ধুর বাড়ি ডাকাতি করেছে। ভারত মার্কিন কোম্পানিগুলিকে বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত ক্ষেত্র দিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।ভারত সম্প্রতি 'গুগল ট্যাক্স' অর্থাৎ ইক্যুয়ালাইজেশন লেভি অপসারণ করেছে, যার কারণে গুগল, মেটা এবং অ্যামাজনের মতো মার্কিন সংস্থাগুলি হাজার হাজার কোটি টাকা লাভবান হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছে, যার ফলে ভারত ৫০-১০০ বেসিস পয়েন্টের জিডিপি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।"
আপ সাংসদের দাবি, "ভারত মার্কেজিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে আমরা শুল্ক পেয়েছি। স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে ভারতের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময়, ইলন মাস্ক নিজেই বলেছিলেন যে স্টারলিঙ্ক ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর মেরুদণ্ড। ভবিষ্যতে যদি ভারত কোনও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে কি স্টারলিঙ্ককে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না?"
রাঘব আরও জানান, "আন্দামানে সম্প্রতি ৬০০০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্তের সময় দেখা গেছে যে, মায়ানমারের পাচারকারীরা স্টারলিঙ্ক ব্যবহার করেছিল। কিন্তু ভারত সরকার যখন এই বিষয়ে স্টারলিঙ্কের কাছে তথ্য চেয়েছিল, তখন সংস্থাটি 'ডেটা গোপনীয়তা আইন' উল্লেখ করে তথ্য দিতে অস্বীকার করে। ভারতের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সরকারের উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করা এবং স্টারলিঙ্কের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা।"