কলকাতার রাস্তায় আর চলবে না হলুদ ট্যাক্সি, চলতি বছরেই শেষ হচ্ছে মেয়াদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - কলকাতা বললেই বাঙালির দুর্গাপুজো,সাহিত্য, সিনেমা, রসগোল্লা, আলু দিয়ে বিরিয়ানি, হাতে টানা রিকশা ছাড়া আর যা মনে আসে তা হল কলকাতার রাস্তার অত্যন্ত পরিচিত যান হলুদ ট্যাক্সি। তবে ট্রামের মতই শহর থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে এই ট্যাক্সি। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের (এনজিটি) কড়া নির্দেশ অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষেই উঠে যাচ্ছে ১৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে চলা হলুদ ট্যাক্সি। অর্থাৎ নতুন বছরের গোড়া থেকে দেখা যাবে না চার চাকার এই জনপ্রিয় বাহনকে। 

কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে বর্তমানে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা প্রায় সাত হাজারের বেশি। অ্যাপ ক্যাবের দাপটে যদিও তাদের অবস্থা সঙ্গীন। যার কারণে প্রায় ২৫০০ এখন কার্যত অকেজো। এবার এনজিটির নির্দেশ অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষেই ১৫ বছর বা তার বেশি সময়ের বাকি প্রায় সাড়ে চার হাজার হলুদ ট্যাক্সি সহ কমার্শিয়াল গাড়ি উঠে যাচ্ছে শহর থেকে। পরিবহণমন্ত্রীর কথায়, ‘এনজিটি যে সময় অর্ডার দিয়েছিল, সে সময় বিএস-২ মানের গাড়ি ছিল। এখন বিএস-৬ মান সহ নানা বিকল্প জ্বালানির গাড়ি। দূষণ অনেক কমেছে। এই অবস্থায় তাই এনজিটি এই নির্দেশ জারি করেছে।'

তবে এই নির্দেশ মানতে পারছে না বাঙালির নস্টালজিক মন। ১৯০৯ সালে শুরু হওয়া এই গাড়ি যোগ বাঙালির মনের সাথে। যদিও প্রথমে এই গাড়ির রং ছিল লাল। ১৯৬২ সালে হিন্দুস্তান মোটরসয়ের অ্যাম্বাসাডর গাড়িকে ট্যাক্সিতে পরিণত করা হয়। তার পর থেকে এই ট্যাক্সিকে দেখা গেছে রোজকারের জীবন থেকে সাহিত্য, সিনেমার পর্দাতেও। হাল ফিলালে এই ট্যাক্সিতে দেখা মিলেছে পাঞ্জাবি পপ গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের। এবার সেই চার চাকার এই জনপ্রিয় বাহনকে হারিয়ে যাওয়া থেকে আটকাতে ‘হারানো সুরে হলুদ ট্যাক্সি’ শিরোনামে সেমিনারও হয়েছে শহরে।