'এটা কোনো ভাষা', বনদফতর উপর ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার - আলিপুরদুয়ারে বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভায় বন দফতরের একাধিক কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। রাজাভাতখাওয়াতে ঢুকতে পর্যটকদের কাছ থেকে কেন টাকা নেওয়া হয়, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। সেইসঙ্গে অন্যান্য বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।
সূত্রের খবর, বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সভায় বন দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমি যে গেস্ট হাউসে আছি, সেখানে একটা ছবি তুলে আনলাম। তাতে দেওয়ালে লেখা আছে, পাচারকারীদের গুলি করে মারা হবে! এটা কি কোনও ল্যাঙ্গুয়েজ হল? আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা বলা হোক। হনুমানগুলোকে থ্যাঙ্কস, ভাগ্যিস, ওরা ছিঁড়ে দিয়েছিল। অনেক সময় সাধারণ মানুষ যাঁরা জানেন না, ফরেস্টের রাস্তার মধ্যে দিয়ে গেলে তাঁর উপর অনেক অত্যাচার হয়। অনেকে জানেন না, ভুল করে ফরেস্টের রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়েন। আপনারা খুব স্ট্রং অ্যাকশন করেন কখনও কখনও। যা মানুষের পছন্দ নয়। মনে রাখবেন, বন, অরণ্য, জঙ্গলের প্রতি মানুষেরও অধিকার আছে।সবাইকে নিয়েই চলতে হয় সমাজে।"
এছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঢুকতে মাথাপিছু, গাড়িপিছু টাকা গুনতে হয় পর্যটকদের শুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাড়তি টাকা কেন দিতে হবে পর্যটকদের? এই সিদ্ধান্ত কার? কে নির্দেশ দিয়েছে? বনদপ্তর কি গর্ভমেন্টের বাইরে।তারা বিষয়টা জানাবে না? এই বলে দিলাম, পর্যটকদের থেকে কোনও বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না।"
হোম স্টে নিয়েও সমস্যা রয়েছে বলে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের কোঅর্ডিনেশন বেটার হওয়া উচিত। সমস্যা মেটাতে সপ্তাহে ১ দিন বন দফতরের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, যেসব এলাকায় মানুষ পিকনিক করতে যান, সেখানে বন্যপ্রাণীরা যাতে আক্রমণ না করে, সেটা দেখতে হবে।