কূটনৈতিক উদ্যোগে ব্যস্ত বিশ্ব ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, জেনেভা -
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন দিগন্ত খুলে গেল গতরাতে, যখন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি একযোগে আক্রমণ চালায় ইরানের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর বুশেহর, নতাঞ্জ,আরাক এবং ফোর্ডো। এই সমন্বিত বিমান হামলা ২০২০ এর দশকের পরবর্তী সময়ে অঞ্চলটিতে অন্যতম বড় সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের দিকে, যার মধ্যে বিয়ারশেবা ও হাইফা অন্যতম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই শহরের হাসপাতালগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। তেল আভিভসহ সমগ্র দেশে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জরুরি পরিষেবাগুলি সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে।
এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা আজ জেনেভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। আলোচনার মূল লক্ষ্য হল সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং আরও রক্তপাত রোধ করা। যদিও কূটনৈতিক মহল থেকে আশাবাদের মাত্রা অত্যন্ত সংযত!!এদিকে, জাতিসংঘ পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর হুঁশিয়ারি জারি করেছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট দ্রুত তীব্র আকার নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে জল সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি ও সাহায্য পাঠানোর রাস্তাগুলি আটকে থাকায় ‘মানবসৃষ্ট খরার’ মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইউএন।
বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলি যখন সংকট সামাল দিতে মরিয়া, তখন ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বৈশ্বিক কূটনৈতিক ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দিতে পারে। পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা, নাগরিক প্রাণহানি এবং মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে এখন বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে,এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে