বেহালার পর এবার মধ্যমগ্রাম, মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করল মা!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – ফের খবরের শিরোনামে মধ্যমগ্রাম। বেহালার পর এবার মধ্যমগ্রামে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল মা-মেয়ের মৃতদেহ। মৃতদের নাম মধুমিতা রায় এবং প্রশংসা রায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। যাতে লেখা, 'মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়'। তবে ঘটনার নেপথ্যে কি কারন আছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    সূত্রের খবর, মধুমিতার স্বামী সুমন রায় একটি কারখানাতে কাজ করেন। ৭ বছর আগে মধুমিতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মধ্যমগ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। শুক্রবার কাজ থেকে ফিরে সুমন দেখেন বাড়ির দরজা বন্ধ। একাধিকবার তিনি ডাকাডাকি করেন স্ত্রী ও মেয়েকে। কিন্তু কেউ জবাব না দেওয়ায় তিনি মধুমিতাকে ফোনও করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেকে দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন সুমন। সেই সময়েই ঘরের বিছানা থেকে ওই নাবালিকা এবং রান্নাঘর থেকে মধুমিতার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই মা ও মেয়েকে একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

    প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ খান ওই বধূ। কিন্তু কী কারণে মেয়েকে খুন করে মা আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে পরিবারও কিছু বলতে পারছে না। শনিবার দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন মধ্যমগ্রামের বাড়িতে এসেছেন। খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন অন্যান্য আত্মীয়-পরিজন। প্রতিবেশীদের দাবি, মধুমিতা হাসিখুশি ছিলেন। তাঁর দাম্পত্য জীবনে কোনও সমস্যার কথা কেউ শোনেননি। হঠাৎ এই পদক্ষেপের কারণ কী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।