বাংলাদেশি সন্দেহে আটক বাংলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিনিধি , উত্তর ২৪ পরগণা – বাংলা বললে আটক করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের। ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র সমলোচনা করেছেন।এমনকী বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যসচীবকে কড়া ভাষায় চিঠি লেখেন মনোজ পন্ত। নতুন করে চার পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করার অভিযোগ করা হয় ওড়িশার পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারাসাতে।
সুত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশায় ভদ্রক টাউন থানার পুলিশ মোট ৭-৮ জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে গেফতার করে।তার মধ্যে ৪ জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার।আটক ৩ জনের নাম মফিজুল হক, ফারুক আহমেদ থান্ডার, নাসির আহমেদ থান্ডার বাড়ি বারাসাতের কদম্বগাছিতে। অন্যদিকে, বাকি ১ জনের নাম হাবিব জমাদার তার বাড়ি দেগঙ্গায়। আরও জানা গেছে তাঁরা বারাসত থেকে ওড়িশার ভদ্রকে গিয়েছিলেন শাড়ির ব্যবসা করতে।
আটক করা ব্যাক্তিদের মধ্যে মফিজুল হক নামে এক ব্যাক্তির স্ত্রী এ বিযয়ে সবিস্তারে জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী ওড়িশাতে শাড়ি ব্যাবসা করে। বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ওখানেই ব্যাবসা করছেন। তাকে বাংলাদেশি বলে গেফতার করা হয়েছে। আমার স্বামী অসুস্থ, হার্টের রোগী।মোট ৭ -৮ জনকে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন উত্তর ২৪ পরগণার, বাকিরা মেদীনিপুর সহ অন্যান্য জাায়গার’।
একইভাবে হকের ছেলেও মন্তব্য করেছেন, ‘আমার বাবা সহ কয়েকজন ব্যাক্তিকে গেফতার করা হয়। আই কার্ড, আধার কার্ড, এছাড়া অন্যান্য ডকুমেন্ট দেখানোর পরও তাদের ছাড়া হচ্ছেনা। তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছেনা ঠিকমতো।বাবা হার্টের রোগী। আজ যদি কিছু হয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? বাঙালি মুসলিম হলেই কী আমরা বাংলাদেশি? এই তকমা কেন দেওয়া হচ্ছে’?
ওপরদিকে বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তৃণমূল সরকার রোহিঙ্গাদের আমদানি করছে, তাদের ভোটার কার্ড, আধার সমস্ত কিছু এমনকি ভোটার লিস্টে নাম তোলার কাজ সবই কাজ করে ফেলেছে।স্বাভাবিকভাবেই তারা অন্য রাজ্যে গেলে সেখানকার সরকার চিন্তা করবে তাদের রাজ্যের সুরক্ষার নিয়ে। তারা যদি বৈধ নথি দেখাতে পারে তাহলে তাদের বেকশুর খালাস করা হবে’।