জেনে নিন 'আমি সেই মেয়ে' সিরিয়ালের রিতু রাই আচার্য কিভাবে হয়ে উঠলেন ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে "কোনও বইকে তার কভার দ্বারা বিচার করবেন না"।বাস্তবে সমাজ কিন্ত প্রথমে মানুষকে তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের দ্বারাই বিচার করে থাকে।বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব তো বরাবরই লক্ষণীয়।রিতু রাই আচার্যকেও তার ক্যারিয়ারের শুরুতে হতে হয়েছিল এইরকমই মন্তব্যের শিকার।মাথার চুলে বিনুনি ও পোশাক দেখে তাকে গ্রামের মেয়ে তকমাও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তবে তাকে দমিয়ে রাখতে কেউ পারেনি।জেনে নেওয়া যাক তারই জীবন যুদ্ধের কাহিনী।

মেদিনীপুর গ্রামের মেয়ে রিতু রাই আচার্য ছোট থেকেই গ্রামেই বড় হয়েছেন।গ্রাম থেকে কলকাতায় আসার যে পুরো যাত্রা এটা তার পুরোটাই স্ট্রাগলে পরিপূর্ণ।মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর থেকেই সে তার মায়ের সঙ্গে কলকাতায় যাতায়াত শুরু করে।লম্বা চুল,পোশাক আশাক দেখে প্রথমেই তাকে গ্রাম্য মেয়ের আখ্যা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনতে হয়।সেই সময় তাকে সাহায্যের হাত কেউ বাড়ায়নি।রিতু কলকাতায় এসে অভিনয় শেখার জন্য একটি ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন। তাকে ৪ ঘণ্টা ট্রেন জার্নির পর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইনস্টিটিউটে ক্লাস করতে হতো।

প্রচুর টাকা ব্যয় হওয়ার পরেও সে তাদের থেকে কোন প্রকার সাহায্য পায়নি।তিনি নিজের পরিশ্রম ও দক্ষতায় অভিনয় জগতে জায়গা করে নেন।তিনি একটি টক শোতে জানান যদি নিজের মধ্যে কিছু করার প্রতিজ্ঞা না থাকে তবে কোনও ইনস্টিটিউট পারবে না সেটা আপনার হয়ে অর্জন করে দিতে এবং এটাও জানান নিজের সঙ্গে সমঝোতা করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গাটি অর্জন করতে পারবেন।তবে কম্প্রোমাইজ করে জায়গাটি পাওয়া যাবে সেটি খুবই কম সময়ের জন্য পাবেন। বড় কিছু অর্জন করতে হলে নিজের দক্ষতা থাকাটা আবশ্যক।তাই অভিনয় জগতে আসতে হলে নিজেকে তৈরি করাটা বেশি জরুরি।

'আমি সেই মেয়ে'সিরিয়ালের লিড চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকে রিতুকে অগ্নিপরীক্ষা,স্ত্রী,ইচ্ছে নদী এবং কড়ি খেলাতেও অভিনয় করতে তাকে দেখা গিয়েছে।'নারী শক্তি' বলতে নারীদের অদম্য ইচ্ছাকেও বোঝায়।নারীর জেদই হল তাদের জন্য লক্ষী।সবার দ্বারাই সব কিছু হয় তবে সেই ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়াটাই তাদের সফলতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।যেমন রিতু রাই আচার্যও তার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েছেন তাই তিনি সফলতার আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছেন।