তেন্দুলকর-এন্ডারসন ট্রফি: হেডিংলিতে ব্রিটিশরাজ, বোলিং ব্যর্থতায় পরাস্ত ভারত

নিজস্ব প্রতিনিধি, লিডস - ভারতীয় জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা ভাল হলনা শুভমন গিলের। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে রাজ করল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগালেন ব্রিটিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় চতুর্থ ইনিংসে বাজিমাত করে সিরিজে ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। যার নেপথ্যে ছিল ভারতের ছন্দহীন বোলিং তথা ফিল্ডিংও। বোলারদের কার্যত দুরমুশ করে জয় ছিনিয়ে নিল ব্রিটিশ শিবির। পঞ্চম দিনে শেষ হাসি হাসল আয়োজক দল। 

টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রথম সেশনে ইংল্যান্ডের বোলারদের প্রায় নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন যশস্বী জসওয়াল ও কেএল রাহুল। পরে গিল ও পন্থের দৌলতে ৪৭১ রান বোর্ডে তোলে ভারত। জবাবে ৪৬৫ রান করে ইংল্যান্ড। বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের ছন্দহীন বোলিং ছিল চোখে পড়ার মত। যদিও পরের দিকে বুমরার সাথ দেন কৃষ্ণা ও সিরাজ। তবে নতুন বল কাজে লাগাতে ব্যর্থ দুই পেসারই। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতের হয়ে শতরান করেন উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ। এছাড়াও শতরান করেছেন কেএল রাহুল। বাকি ব্যাটারদের কেউই টপকাতে পারেননি অর্ধশতরানের গণ্ডি। তবে পন্থ ও রাহুলের কাঁধে ভর করেই ইংল্যান্ডকে ৩৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে মাত্র ৬ ওভার ব্যাট করে ইংল্যান্ড। 

পঞ্চম দিনে যেকোনো দলের কাছেই কঠিন ৩৫০ রানের বেশি লক্ষ্যে অবতীর্ণ হওয়া। সকাল থেকেই বইছে হাওয়া। বলের সুইং পড়তে না পারলেই ফিরতে হবে সাজঘরে। সামনে অভিজ্ঞ জসপ্রীত বুমরা। তবে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন দুই ব্রিটিশ ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। প্রথম ইনিংসে ৬ বলের মধ্যেই বুমরার শিকার হলেও এদিন মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন ক্রলি। অন্যদিকে স্কোরবোর্ড চালনার দায়িত্ব নেন ডাকেট। ৯৮ রানে তার ক্যাচ হাতছাড়া করেন যশওয়াল। যার ফলস্বরুপ ১৪৯ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন বাঁহাতি ওপেনার। ক্রলি করেন ৬৫ রান। গুটিকয়েক ক্যাচিংয়ের সুযোগ ছাড়া ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল দুই ওপেনার।  

কৃষ্ণার দুই উইকেটে কিছুটা মনবল ফিরে পায় ভারত। তার বেশ কিচ্ছুক্ষণের মধ্যেই ডাকেটকে দেড়শো রানের দোরগোড়ায় সাজঘরের রাস্তা দেখান শার্দুল ঠাকুর। ওই ওভারেই ঝুলিতে ভরেন হ্যারি ব্রুকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ফের জয়ের রাস্তা খুজতে শুরু করে গিলবাহিনী। সেই সময় পিচে উপস্থিত ইংল্যান্ডের দুই সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট ও বেন স্টোকস। ওই পরিস্থিতি থেকে দলকে জেতানোর মত ক্ষমতা রাখেন দুই ব্যাটারই। স্টোকসের ৩৩ এবং রুটের অর্ধশতরানই ছিল তখন শতরানের সমান। দলকে জয়ের পথ নিশ্চিত করেই জাদেজার শিকার হন স্টোকস। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেটও পকেটে পুড়তে ব্যর্থ বুমবুম। মিলিত বোলিং প্রয়াস ছাড়া ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে পরাস্ত করা যে মুখের কথা নয় সেই শিক্ষা নিয়েই সিরিজে ফেরার প্রস্তুতি নেবে ভারত