স্বামী পরকীয়া করে ছেড়ে দিলো সন্তানসহ মাকে ! মল্লিকার সঙ্গে আদেও কি হয়েছে ন্যায় বিচার ?

টিভি নাইনটিন এক্সক্লুসিভ - বহমান এই জীবনে নানান রকমের মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়।তবে সেই সম্পর্ক সঠিক নাকি ভুল তা কখনই আগের থেকে জানা সম্ভব নয়।মল্লিকা ব্যানার্জির জীবনেও এসেছে নানানধরনের মানুষ। তবে সম্পর্কগুলো সফল না হলেও তিনি হার মানেননি।জীবনের বাঁধা যেমন এসেছে সেখান থেকে নিজের মনোবল তিনি নিজেই বাড়িয়ে তুলেছেন। তাঁর জীবন কাহিনী সমাজের সকল মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়।চলুন জেনে নেওয়া যাক তারই কিছু জানা অজানা কাহিনী।

মল্লিকারা তিন বোন।তাই তাঁর বাবার বরাবরই খুবই চিন্তা ছিল যে তিন কন্যার বিবাহ কিভাবে দেবেন ? ছোট বয়সেই প্রেমে পড়েন মল্লিকা।নিজের ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে এক কাপড়ে কলকাতায় পাড়ি দেন।এরপর শুরু হয় তাদের সংসার।খুব ছোট বয়সে তাঁর একটি ছোট কন্যা সন্তানও হয়। মাতৃত্বকে খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন মল্লিকা।এইভাবেই বেশ কয়েক দিন পার হয়ে যায়।তবে হঠাৎ করেই তাঁর বিবাহিত জীবনে ভাঙন দেখা যায়।

 তাঁর বর একদিন সকালবেলায় এসে তাকে জানায় সে অন্য কাউকে ভালোবাসে তাই তাকে বিয়ে করতে চায়।অনেকগুলো টাকা মল্লিকার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নয় বছরের ফুটফুটে সন্তানকে রেখে তাঁর স্বামী তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।ঘটনাক্রমে মল্লিকার জীবনে আবার প্রেম আসে।আবার সে বিশ্বাস করে তাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান।তবে তাঁর প্রিয় মানুষের শর্ত ছিল মল্লিকার সঙ্গে থাকতে গেলে তাকে কাজ ছাড়তে হবে।প্রিয় মানুষের উপর বিশ্বাস রেখে ও ভালো থাকার ইচ্ছা নিয়ে মল্লিকা কাজ ছেড়েও দেয়।তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই মল্লিকার অনুভব হলো সে আবার ভুল মানুষকে বেছে নিয়েছেন। তাই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে তিনি আবার নিজের কাজ শুরু করেন।ছোট ছোট চরিত্রগুলো নিয়ে নিজের যাত্রাপথ চলা শুরু করেন মল্লিকা।প্রথম বড় চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন 'সোহাগী সিঁদুরে' সিরিয়ালে।বর্তমানে তিনি নিজের মেয়ের ইচ্ছেতে প্রিয় মানুষের হাত ধরেছেন।বিয়ে করেছেন ও নতুন করে সংসারেও পাড়ি দিয়েছেন।নিজের সুখকে তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন।

নারীদের ভাগ্যে সংগ্রাম জন্মগত। জীবনের ঘটনাপ্রবাহে বিভিন্ন বয়সে নানারকম মানুষের সঙ্গে আলাপ হয় সেই ক্ষেত্রে মানুষগুলি ভুল বেরোলে জীবন সংগ্রামে থেমে গেলে চলবে না বরং লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।মলিক্কার জীবনে যেমন অনেক সম্পর্ক এসেছে তেমন সেই সম্পর্কে অনেক বাঁধাও এসেছে।তবুও জীবনের হ্যাপী ইন্ডিংয়ের আশায় হার মানেননি।নারীদের এই হার না মানার লড়াই তাদের শক্তি জোগায় এবং সেখান থেকেই নারীশক্তির জয় হয়। যেমনটা হয়েছে মল্লিকার।টিভি নাইনটিনের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য রইলো আগামী দিনের অনেক শুভেচ্ছা,ভালোবাসা ও অভিনন্দন।