নিউটাউনে নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার টোটোচালক!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক টোটোচালক। অভিযুক্তের নাম সৌমিত্র রায় ওরফে রাজ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয় বলে খবর। এরপর শনিবার রাতে নিউটাউন পুলিশ ক্যাম্প এলাকা থেকে আটক করা হয়।

    সূত্রের খবর, নদীয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সৌমিত্র রায় ওরফে রাজ নিউটাউন আদর্শপল্লি এলাকায় ভাড়া থাকত। বৃহস্পতিবার ১১:৪৯ নাগাদের নিউটাউন সিটি স্কোয়ার ব্রিজের নিচের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ওই নাবালিকা ধৃতের টোটোতে ওঠে। এরপর এই সুত্র ধরে শনিবার রাতে নিউটাউন পুলিশ ক্যাম্প এলাকা থেকে সৌমিত্রকে প্রথমে আটক করা হয়। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জেরার মুখে সৌমিত্র স্বীকার করে গৌরাঙ্গনগর নিজের বাড়ি যাবে বলে তার টোটোতে ওঠেছিল নাবালিকা। টোটোর সামনের সিটে নাবালিকাকে বসিয়ে অন্য যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যস্থলে ছাড়ে ধৃত। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার গন্তব্যে না নিয়ে গিয়ে নিউটাউনের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে লোহা ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে সে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

   প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাতসকালে নিউটাউনের লোহার ব্রিজ সংলগ্ন ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় একটি অর্ধনগ্ন দেহ। শুরু হয় তদন্ত। শুক্রবার বিকালেই জানা যায় মৃতার পরিচয়। নিহত নাবালিকা নিউ টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। বোনকে মারায় মা বকাবকি করেন নাবালিকাকে। তার পর পড়তে বসতে বললে আরেক দফা বচসা হয় ২ জনের। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি চিঠি লিখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নাবালিকা। চিঠি দেখেই নাবালিকার খোঁজ শুরু করে পরিবার। কিন্তু সারা রাত তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শেষে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ নিউ টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ লোহার ব্রিজের কাছে দেহ উদ্ধারের পর মেয়েকে সনাক্ত করেন মা। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে নাবালিকার নিম্নাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলে। এছাড়া নাবালিকার শরীরের ওপরের অংশেও নখের আঁচড় পাওয়া যায়।