তৃণমূল পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি , অভিযুক্ত বিজেপি
নিজস্ব প্রতিনিধি , কোচবিহার - রাজনৈতিক উত্তেজনায় ফের উত্তপ্ত পুন্ডিবাড়ি এলাকা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ওপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শাসক দলের পক্ষ থেকে এই হামলার জন্য বিজেপিকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর , বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে বাইকে করে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে। সেই সময় হঠাৎই একটি আকল রঙের চারচাকা এসে তার পথরোধ করে। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে দুষ্কৃতীরা আচমকাই গুলি চালায় রাজু দের ওপর। প্রায় ৩ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তার মধ্যে একটি গুলি রাজু দের দেন হাতে গিয়ে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয় তার। চিকিৎসকেরা জানান, অস্ত্রপাচারের পর বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। এই ঘটনার পর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালেও এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুন্ডিবাড়ি এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে তাজা গুলি সহ ২ টি গুলির খোল উদ্ধার করে।
হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে তৃণমূল। পুন্ডিবাড়ি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন তারা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ , দুষ্কৃতীরা সুকুমারের ছত্রছায়ায় থাকে। তার নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে।
যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় জানিয়েছেন , " এখন কিছু হলেই বিজেপির দোষ হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই। যিনি আহত হয়েছেন তিনি কয়েকদিন আগেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভাঙচুর করে , বহু লোকজনকে মারধরও করে। ওদের নিজেদের দলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। ওকে ওর দলের লোকেরাই সহ্য করতে পারে না। "