"কসবা কলেজে আমাদের কোনো ইউনিট নেই”: অভিযুক্তের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে সাফাই টিএমসিপির
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে দেখা গেছে সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জড়িত। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে সমালোচনার ঝড়।
সূত্রের খবর, কলেজ চত্বরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের রাজনৈতিক যোগ সামনে আসার পর থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিরোধী ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। কলেজের বাকি পড়ুয়া ও সমাজ মাধ্যমে দেখা গেছে মনোজিত মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা এবং কলেজ ইউনিটের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে শাসক দলের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। বৈঠক থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণাঙ্কুর বলেন, "এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর কোনো ভাষা নেই। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চাই।"
এরপর তিনি অভিযুক্তের রাজনৈতিক সংযোগ প্রসঙ্গে বলেন, "আমি দায়িত্ব সহকারে বলছি, বর্তমানে ওই কলেজে ছাত্র পরিষদের কোনও ইউনিট নেই। ইউনিট না থাকলে প্রেসিডেন্টও থাকতে পারে না। সুতরাং ‘ইউনিট প্রেসিডেন্ট’ পরিচয় সম্পূর্ণ ভুয়ো।" তবে তিনি এটা স্বীকার করেন পূর্বে অভিযুক্ত মনোজিত ছাত্র পরিষদের একটি ছোট পদে ছিলেন। তার ভাষায় ২০২২ সালে জেলা কমিটিতে অভিযুক্তের কোনও নাম নেই।
শাসক দলের দাবি, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তের শাসক দলের সঙ্গে যোগ থাকার খবর সামনে আসার পর থেকেই শাসক দল তার উপস্থিতি কার্যত অস্বীকার করে আসছে। আর যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।